Probashi

Film Review: Tanu Weds Manu Returns

tanu-weds-manu

এক কথায়, প্রচণ্ডরকমের over rated সিনেমা। সকালে Times Of India দেখেছিলাম ৪.৫/৫ দিয়েছে, হিন্দুস্তান টাইমস তো আরও এগিয়ে বলছে ‘A milestone you can’t miss’. বাপ রে। এরকম milestone miss করা যায় নাকি ? একদম না। Front Row-তে বসে দেখলাম সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে বলে।

দেখে ঘাড়ে ব্যথা, মনে ব্যথা, দিব্যি বোকা বানিয়ে দিল তো। এজন্যই বিজ্ঞজনেরা বলে গেছেন, পরের মুখের ঝাল খেতে নেই। নিজে চেখে দেখতে হয় নুন ঠিক আছে কিনা, ঝাল বেশী হয়ে গেল কিনা। কারুর নুনটা কম হলে ভাল লাগে, তো কারুর ঝালটা বেশী tasty লাগে। নিজে দেখুন, নিজে ভাল মন্দ বিচার করুন।

প্রথমত সিনেমার opening sequence ভাল লাগেনি। পুরো সিনেমা জুড়ে প্রচুর সুন্দর সুন্দর one liners আর মজার ডায়ালগ আছে কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় অবাস্তব ব্যাপারটা চোরাবালির মত এসে আমেজটা নষ্ট করে দিচ্ছে। যেমন দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে বড় ডাক্তার মনোজ শর্মা বক্তৃতা দিতে গিয়ে কুসুমকে দেখে এমনই বিহ্বল হয়ে পড়লেন যে আধা পড়াশোনা জানা পাপ্পিকে হৃদযন্ত্রের জটিল কাজ সংক্রান্ত মেডিক্যাল বক্তৃতা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে চম্পট দিলেন। পরের দৃশ্যে যেখানে পাপ্পিকে ছাত্রছাত্রীরা নানারকম প্রশ্ন করছে আর পাপ্পি উত্তর না দিতে পেরে সঙের মত সিনেমাহলের দর্শকদের হাসানোর চেষ্টা করছে, আমার মতে এটা সিনেমার দুর্বলতম দৃশ্য। আমার অন্তত একদমই হাসি পায়নি, বিরক্তি লাগছিল।

কঙ্গনা রাণাওয়াৎ অসাধারণ অভিনেত্রী সবাই জানে। তিনি একাই প্রায় পুরো সিনেমাটা টেনে নিয়ে গেছেন। হরিয়ানার ভাষায় চমৎকার সাবলীলতা দেখানোর পাশাপাশি ডাবল রোলের দুই জায়গাতেই তিনি স্বাতন্ত্র ধরে রেখেছিলেন। কঙ্গনাকে দেখতে somehow আমার কোনওদিনই ভাল লাগেনা, চুলগুলো কেমন উস্কো খুস্কো, ঠোঁটের উপরটা বাঁকা, ‘ত’ উচ্চারণ করার সময় জিভ বের করে বলেন, মানে হিন্দি সিনেমার তথাকথিত নায়িকাসুলভ কমনীয়তা দেখিনা তাঁর মধ্যে, যদিও আকর্ষণীয় একটা ব্যাপার আছে সবমিলিয়ে। মাধবনকে আমার এমনিতেই ভাল লাগে, সেই যখন থেকে তিনি Zee TV-র Sea Hawks করতেন। মোটা হয়ে গেছেন যদিও তবুও ঐরকম একটা look বা image আছে ওনার যেটা অনেক মেয়েরা পছন্দ করে – someone I can depend totally. আর ঠিক এইকারণেই তাঁর expression-এ তেমন বৈচিত্র না থাকলেও দারুণ মানিয়ে গেছে। দীপক ডোবরিয়াল আর স্বরা ভাস্কর যথাযথ।

গানগুলো শ্রুতিমধুর। মেকআপ আর্টিষ্ট কুসুমের মেকআপ ঠিকমতো করেননি। কঙ্গনার গলার তিলটা এতটাই prominent যে সাদা concealer কাজ করেনি। পরচুলাটাও সহজেই চোখে পড়ছিল।

Extra marital affair নিয়ে সিনেমা বানাতে গেলে পরিচালকরা সাধারণত একটু বেশী সংবেদনশীল হয়ে পড়েন, যতই দোষ বা অসুবিধা থাকুক স্বামী স্ত্রী দুজনে দুজনের কাছে ফিরতে বা ভালবাসতে বাধ্য এরকম একটা conclusion বানিয়ে ছাড়েন। সে সিলসিলা-ই হোক বা এই ফিল্ম। মাঝখানে করণ জোহর একটু অন্যরকম conclusion (Kabhi Alvida Na Kehna) দেখাতে গিয়ে বক্স অফিসে মার খেয়েছেন, সুতরাং হিমাংশু শর্মা (story writer of this movie) আর chance নেননি। Tanu’র একগাদা attitude problem থাকলেও Manu is supposed to return to her for she is his wife. মাঝখান থেকে প্রেম উপেক্ষিত, সামাজিক দায়িত্ব প্রশংসিত।

আমার ভালো লাগেনি।


3 Comments »

  1. Comment by Rahul

    I like your reviews. Though not in agreement always. Can I have your review or comments on Kung Fu Panda, both one and two.
    Have a good day.

  2. Comment by Rahul

    I like your reviews, though not always in agreement. May I have your review/comments on Kung Fu Pand both one and Two please.

  3. Comment by Tana

    Comedy movie dekhe hall bharti loker hese hese pet e khil dhore galo er cheye boro success r ki hote pare..

Leave a comment

If you want to leave a feedback to this post or to some other user´s comment, simply fill out the form below.

(required)

(required)